সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন হয় ভালো ঘুমের। শুধুমাত্র ঘুম না হওয়ার কারণে দেখা দিতে পারে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন সুস্থ মানুষকে দিনে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। অথচ অনিদ্রা সমস্যা যাদের আছেন, তারা ৫-৬ ঘন্টাও ঠিকমত ঘুমাতে পারেন না। ঘুমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকেই স্লিপিং পিল খেয়ে থাকেন।

ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই হোক বা পরামর্শ ছাড়াই হোক স্লিপিং পিলের রয়েছে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তবে কিছু খাবার দ্রুত ঘুম আসার জন্য সহায়ক। সম্প্রতি হেলথলাইন ডোটকমের প্রতিবেদনে এমন কিছু খাবারের তালিকা দেয়া হয়েছে যেগুলো ঘুমের জন্য সহায়ক। আসুন জেনে নেই যেসব খাবার খেলে দ্রুত ঘুম আসবে।

কলা
কলায় আছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। পটাশিয়াম পায়ের পেশিগুলোকে শিথিল ও শান্ত করবে আর ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ু ও মাংসপেশিতে শিথিল ভাব আনবে। এ ছাড়া কলা হজম ভালো করে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে পারে।

মধু

মধু কিছুটা ইনসুলিন বাড়ায় এবং মস্তিষ্কে ট্রিপটোফ্যান সহজে যেতে সাহায্য করে। দেহঘড়ির হরমোন হিসেবে পরিচিত সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরি করে ট্রিপটোফ্যান, যা আমাদের ঘুম ও জেগে ওঠার চক্র ব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী। ঘুমের আগে তাই এক চামচ মধু খেলে কিংবা হারবাল চায়ের সাথে মিশিয়ে খেলে আরও প্রশান্তির ঘুম আসবে।

লেটুস
লেটুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটুক্যারিয়াম, যা ঘুমে সাহায্য করে। রাতে শোওয়ার আগে কয়েকটি লেটুসপাতা গরম জলে ফুটিয়ে খেলে ঘুম ভালো হবে। লেটুস সালাদও রাখতে পারেন রাতের খাবারে।

আখরোট
আখরোট ট্রিপটোফ্যানের ভালো উৎস। এতে ঘুম বাড়ানোর অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে, যা সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। রাতে এক-দুটি আখরোট খেতে পারেন।

কাঠবাদাম
অর্থমলিকুলার মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে যখন ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি থাকে, তখন ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে। কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম ও ট্রিপ্টোফান। এই দুটি উপাদানই স্নায়ু ও মাংসপেশিকে শান্ত করে দেয়।

ডিম
ডিমে আছে ভিটামিন ডি, যা ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। মস্তিষ্কে যে অংশের নিউরন ঘুমাতে সাহায্য করে ডিমের ভিটামিন ডি সেখানে কাজ করে।

দুধ
দুধে ক্যালসিয়াম থাকায় সেটি ক্যালসিয়াম মস্তিষ্কে ট্রিপটোফ্যান তৈরিতে সাহায্য করে।